-শিতের ভিতর একা ঘুমাইতে পারমু না।এমনিতেই শিত,তারউপরে কলেজ ছুটি।একা থাকা যায় বল।তাই বিয়া করাইয়া দাও
-হারামজাদা এই দিকে আয়,তোরে বিয়া করাইতেছি
কে যায় কার কাছে।এক দৌড়ে রুমে এসে দরজা লাগাইয়া দিলাম।ও হ্যা,আমি <জয়>।যদিও আম্মু বাদে সবাই আমাকে অর্ক বলেই ডাকে।যাইহোক আমি ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে পড়ি।বাবা মায়ের প্রথম সন্তান।আমার ছোট একটা বেন আছে।মিম। ।আমার কোন abcd নাই।মানে কোন গার্লফ্রেন্ড নাই।ভাবছেন,এত বড় ছেলে গার্লফেন্ড নাই।নিশ্চই পড়াশোনায় ভালো,নাহলে দেখতে ক্ষ্যাত।আমি দুইটার কোনটাই না।দেখতে মাশাল্লাহ কিন্তু পড়াশোনায় পুড়া ফাকিবাজ।এই যে,পড়াশুনা রেখে গল্প লিখতেছি।আমার জুনিয়র ভাইয়াও প্রেম করে।কিন্তু আমি!!কপাল,আজ পর্যন্ত একটা প্রেম করতে পারলাম না।যাইহোক এইবার মূল গল্পে আসি।
সকাল সকাল আম্মুর সাথে ফাজলামি করে এসে ঘুম দিলাম।এক ঘুমে দুপুর।ঘুম থেকে উঠে গোসল,খাওয়া দাওয়া করে আবার ঘুম দিলাম।ঘুম ভাঙল ছোটবোনের ডাকে।
-ভাইয়া,এই ভাইয়া।তাড়াতাড়ি উঠে রেডি হয়ে নে???
-ওই আম্মুরে গিয়া বল,আমি বাজারে যাইতে পারব না....
-বাজারে যাওয়া লাগবে না।
-তাইলে কানের ধারে আইসা ঘ্যানঘ্যান করছ ক্যান?কি হইছে??
-তুই নাকি কি বিয়া করবি???তোর জন্য মেয়ে দেখতে যাবো
-কি কস!!!
-হুমমমম
-সত্যি???মাইয়াটা কে???
-অনিকা আপু.....
-হুমমম।হইছে,এইবার ফাজলামি রাখ।আর এইখান থেকে আউট হ!!
-আরে সত্যি।আনিকা আপুর সাথে তোর বিয়ে ঠিক করছে আব্বু।রেডি হ তাড়াতাড়ি....
-তুই এইখান থেকে যাবি না আমি কানের নিচে একটা দিমু
.
এই বোনটাও না,একটা ফাজিলের ডিব্বা।সবসময় আমার সাথে ফাজলামি করে।আমি যে ওর বড় ভাই এইটা মনেই হয় না।আর অনিকা হচ্ছে আমার আব্বুর বন্ধুর মেয়ে।অনার্স ৩য় বর্ষে পড়ে।সেই রকমের রাগি আর ব্রিলিয়ান্ট মেয়ে।চোখে ইয়া বড় একটা চশমা।আমি তাকে খুব ভয় পাই।যদিও তার পিছনে,কারন আছে।তখন আমি ক্লাস টেন এ পড়ি।অনিকা আপু আমাদের বাসায় বেড়াতে আসলে,আমাদের পাশের বাসার এক ভাইয়ার আপুকে পছন্দ হয়।তো,ভাইয়া আমাকে বলল কিছু একটা ব্যবস্থা করে যেন বিকালে আপুকে নিয়ে ঘুরতে বের হই।আমিও বিকালে আপুকে নিয়ে ঘুরতে বের হলাম।ভাইয়া রাস্তায় আপুকে প্রোপোজ করল।তারপর,ভাইয়ার দুই গালে,আর আমার একগালে ৫ আঙুলের দাগ।সেই দাগ পুরা সাতদিন পর্যন্ত ছিল।সেই থেকেই অনিকা আপুকে ভয় পাই।তাছাড়া ছোটদের ভুল তিনি একদম দেখতে পারেন না।এই মেয়েকে য ে বিয়ে করবে,তার জিবন শেষ
অনিকা আপুকে নিয়ে ছোটবোন মাঝে মাঝেই ফাজলামি করে।তাই ওর কথায় কান না দিয়া এফ বি লগ ইন করলাম।এর মধ্যেই মা এসে হাজির
-কিরে,তোরে রিতু রেডি হইতে কইছে না???
-কি মা!!তুমিও মিমের সাথে শুরু করলা??
-ফাজলামি না।তোর সত্যি সত্যি আজ বিয়ে...
-কার সাথে??
-অনিকার সাথে
-কি ইইই!!
-হুমমম।তুই তো জানোস অনিকার বাবা খুব অসুস্থ।তিনও চান,মৃত্যুর আগে তার মেয়ের বিয়ে দিতে।তাই দুপুরে তোর বাবাকে ফোন করছিল।আর সকালে তো তুই বিয়া করতে চাইলি।সেইটা তোর আব্বু শুনে ফেলছে।তাই তোর সাথেই অনিকার বিয়ে ঠিক করছে
-আরে আমিতো সকালে ফাজলামি করছিলাম...
-আমার কিছুই করার নাই।তোর আব্বু ঠিক করছে।তুই তো তোর আব্বুকে চিনোস।
-তাই বলে অনিকাকে???
-কেন?? কি হইছে??কত ভালো। কিউট একটা মাইয়া।পড়াশোনাও ভালো।
-হ!!ভাল।আমার জীবনটা শেষ।মুই বিয়া করমু না মা।
-আমি কিছু করতে পারব না।তোর আব্বুকে গিয়া বল।আমি গেলাম,তারাতারি রেডি হ।
এইটা কি হইল।শেষ পর্যন্ত কিনা আমার সাথেই অনিকা আপুর বিয়ে।অনিকা আপুর বাবা অসুস্থ তাই তারাতারি দিতে চান।আমার সকালের ফাজলামি সকালে আব্বু শুনে ফেলছে।এখন আব্বুকে কিছু বলতে পারব না।আমার আব্বু হচ্ছে বাঘ।সেই লেভেলের রাগি মানুষ।যা বলবেন,সেইটাই হবে।
যাইহোক রেডি হয়ে অনিকা আপুদের বাসায় গেলাম।গিয়ে তো আমি পুরা অবাক।কাজিও হাজির!!!ইয়া আল্লাহ।এই মেয়েকেই আমার বিয়ে করতে হবে।আমি আপুকে কয়েকবার চোখ টিপ দিলাম যাতে তার সাথে আমি কথা বলতে পাড়ি।কিন্তু চোখ টিপ দিতেই তার উল্টো টা হল।আমার দিকে রাগি লুক নিয়া তাকাইলেন।মনেহয়,আমি চুরি করে ফেলছি।
রাত ১১ টা।বিয়েটা আমাদের হয়ে গেল।অনিকা আমার রুমে।অনিকা বলছি তাই অবাক হচ্ছেন???আরে ও তো এখন আমার বউ,সিনিয়র বউ।আমি রুমের বাইরে দারাইয়া আছি।ভিতরে ডুকতে ভয় লাগছে।কি হবে ভিতরে ডুকলে???এই ভয়।অনেকক্ষন পর ভিতরে ঢুকলাম।ঢুকে দেখি,মহারাণী আমার টেবিলে বসে পড়াশোনা করছে।আমাকে দেখে পড়া রেখে আমার দিকে আসল।আমার ডান কানটা ধরে বলল,হারামী,তখন চোখ মারছিলি কেন???
2য় পর্ব আসছে
-হারামজাদা এই দিকে আয়,তোরে বিয়া করাইতেছি
কে যায় কার কাছে।এক দৌড়ে রুমে এসে দরজা লাগাইয়া দিলাম।ও হ্যা,আমি <জয়>।যদিও আম্মু বাদে সবাই আমাকে অর্ক বলেই ডাকে।যাইহোক আমি ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে পড়ি।বাবা মায়ের প্রথম সন্তান।আমার ছোট একটা বেন আছে।মিম। ।আমার কোন abcd নাই।মানে কোন গার্লফ্রেন্ড নাই।ভাবছেন,এত বড় ছেলে গার্লফেন্ড নাই।নিশ্চই পড়াশোনায় ভালো,নাহলে দেখতে ক্ষ্যাত।আমি দুইটার কোনটাই না।দেখতে মাশাল্লাহ কিন্তু পড়াশোনায় পুড়া ফাকিবাজ।এই যে,পড়াশুনা রেখে গল্প লিখতেছি।আমার জুনিয়র ভাইয়াও প্রেম করে।কিন্তু আমি!!কপাল,আজ পর্যন্ত একটা প্রেম করতে পারলাম না।যাইহোক এইবার মূল গল্পে আসি।
সকাল সকাল আম্মুর সাথে ফাজলামি করে এসে ঘুম দিলাম।এক ঘুমে দুপুর।ঘুম থেকে উঠে গোসল,খাওয়া দাওয়া করে আবার ঘুম দিলাম।ঘুম ভাঙল ছোটবোনের ডাকে।
-ভাইয়া,এই ভাইয়া।তাড়াতাড়ি উঠে রেডি হয়ে নে???
-ওই আম্মুরে গিয়া বল,আমি বাজারে যাইতে পারব না....
-বাজারে যাওয়া লাগবে না।
-তাইলে কানের ধারে আইসা ঘ্যানঘ্যান করছ ক্যান?কি হইছে??
-তুই নাকি কি বিয়া করবি???তোর জন্য মেয়ে দেখতে যাবো
-কি কস!!!
-হুমমমম
-সত্যি???মাইয়াটা কে???
-অনিকা আপু.....
-হুমমম।হইছে,এইবার ফাজলামি রাখ।আর এইখান থেকে আউট হ!!
-আরে সত্যি।আনিকা আপুর সাথে তোর বিয়ে ঠিক করছে আব্বু।রেডি হ তাড়াতাড়ি....
-তুই এইখান থেকে যাবি না আমি কানের নিচে একটা দিমু
.
এই বোনটাও না,একটা ফাজিলের ডিব্বা।সবসময় আমার সাথে ফাজলামি করে।আমি যে ওর বড় ভাই এইটা মনেই হয় না।আর অনিকা হচ্ছে আমার আব্বুর বন্ধুর মেয়ে।অনার্স ৩য় বর্ষে পড়ে।সেই রকমের রাগি আর ব্রিলিয়ান্ট মেয়ে।চোখে ইয়া বড় একটা চশমা।আমি তাকে খুব ভয় পাই।যদিও তার পিছনে,কারন আছে।তখন আমি ক্লাস টেন এ পড়ি।অনিকা আপু আমাদের বাসায় বেড়াতে আসলে,আমাদের পাশের বাসার এক ভাইয়ার আপুকে পছন্দ হয়।তো,ভাইয়া আমাকে বলল কিছু একটা ব্যবস্থা করে যেন বিকালে আপুকে নিয়ে ঘুরতে বের হই।আমিও বিকালে আপুকে নিয়ে ঘুরতে বের হলাম।ভাইয়া রাস্তায় আপুকে প্রোপোজ করল।তারপর,ভাইয়ার দুই গালে,আর আমার একগালে ৫ আঙুলের দাগ।সেই দাগ পুরা সাতদিন পর্যন্ত ছিল।সেই থেকেই অনিকা আপুকে ভয় পাই।তাছাড়া ছোটদের ভুল তিনি একদম দেখতে পারেন না।এই মেয়েকে য ে বিয়ে করবে,তার জিবন শেষ
অনিকা আপুকে নিয়ে ছোটবোন মাঝে মাঝেই ফাজলামি করে।তাই ওর কথায় কান না দিয়া এফ বি লগ ইন করলাম।এর মধ্যেই মা এসে হাজির
-কিরে,তোরে রিতু রেডি হইতে কইছে না???
-কি মা!!তুমিও মিমের সাথে শুরু করলা??
-ফাজলামি না।তোর সত্যি সত্যি আজ বিয়ে...
-কার সাথে??
-অনিকার সাথে
-কি ইইই!!
-হুমমম।তুই তো জানোস অনিকার বাবা খুব অসুস্থ।তিনও চান,মৃত্যুর আগে তার মেয়ের বিয়ে দিতে।তাই দুপুরে তোর বাবাকে ফোন করছিল।আর সকালে তো তুই বিয়া করতে চাইলি।সেইটা তোর আব্বু শুনে ফেলছে।তাই তোর সাথেই অনিকার বিয়ে ঠিক করছে
-আরে আমিতো সকালে ফাজলামি করছিলাম...
-আমার কিছুই করার নাই।তোর আব্বু ঠিক করছে।তুই তো তোর আব্বুকে চিনোস।
-তাই বলে অনিকাকে???
-কেন?? কি হইছে??কত ভালো। কিউট একটা মাইয়া।পড়াশোনাও ভালো।
-হ!!ভাল।আমার জীবনটা শেষ।মুই বিয়া করমু না মা।
-আমি কিছু করতে পারব না।তোর আব্বুকে গিয়া বল।আমি গেলাম,তারাতারি রেডি হ।
এইটা কি হইল।শেষ পর্যন্ত কিনা আমার সাথেই অনিকা আপুর বিয়ে।অনিকা আপুর বাবা অসুস্থ তাই তারাতারি দিতে চান।আমার সকালের ফাজলামি সকালে আব্বু শুনে ফেলছে।এখন আব্বুকে কিছু বলতে পারব না।আমার আব্বু হচ্ছে বাঘ।সেই লেভেলের রাগি মানুষ।যা বলবেন,সেইটাই হবে।
যাইহোক রেডি হয়ে অনিকা আপুদের বাসায় গেলাম।গিয়ে তো আমি পুরা অবাক।কাজিও হাজির!!!ইয়া আল্লাহ।এই মেয়েকেই আমার বিয়ে করতে হবে।আমি আপুকে কয়েকবার চোখ টিপ দিলাম যাতে তার সাথে আমি কথা বলতে পাড়ি।কিন্তু চোখ টিপ দিতেই তার উল্টো টা হল।আমার দিকে রাগি লুক নিয়া তাকাইলেন।মনেহয়,আমি চুরি করে ফেলছি।
রাত ১১ টা।বিয়েটা আমাদের হয়ে গেল।অনিকা আমার রুমে।অনিকা বলছি তাই অবাক হচ্ছেন???আরে ও তো এখন আমার বউ,সিনিয়র বউ।আমি রুমের বাইরে দারাইয়া আছি।ভিতরে ডুকতে ভয় লাগছে।কি হবে ভিতরে ডুকলে???এই ভয়।অনেকক্ষন পর ভিতরে ঢুকলাম।ঢুকে দেখি,মহারাণী আমার টেবিলে বসে পড়াশোনা করছে।আমাকে দেখে পড়া রেখে আমার দিকে আসল।আমার ডান কানটা ধরে বলল,হারামী,তখন চোখ মারছিলি কেন???
2য় পর্ব আসছে
Comments