কয়দিন আগে বেশ অসুস্থ ছিলাম। মটকা মেরে বিছানায় পরে থাকলে নানান হাবিজাবি চিন্তা ঘুরে মাথায়… চোখ ঘুমায়, ব্রেন জেগে থাকে ... এমন একদিন জামাইরে বললাম, “শুনো, বেশী দিন বাচঁবো বলে মনে হয়না, তুমি মেয়ে দেখো…”
সে অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো, “কিসের মেয়ে???”
আমি বললাম, “আমি মারা গেলে বিয়ে তো করবাই, নাকি… কাকে না কাকে নিয়ে আসবা, যার তার কাছে তো তোমাকে রেখে যেতে পারিনা, তারচেয়ে দেখে শুনে ঠিক করে দিয়ে যাই।”
জামাই অবাক হয়ে বললো, “ রিকমেন্ডেশন লেটার দিবা নাকি???”
আমি বললাম, “ধরো সে রকমই…”
কথাবার্তার এই পর্যায়ে আমাদের কন্যার আগমন… এসেই দুজনের মাঝখানে গুটিশুটি মেরে শুয়ে পরলো... হঠাত বিঘ্ন ঘটায়, আলাপচারিতার এখানেই সমাপ্তি…
কিছুদিন পর এক বিয়েতে গেছি, আমরা বরপক্ষ, ছেলের এটা দ্বিতীয় বিয়ে, প্রথম বউ এর সাথে ডিভোর্স হয়ে গেছে। আমি এম্নিতেই জিজ্ঞেস করলাম, “মেয়েরও কি দ্বিতীয় বিয়ে?”
আমার জামাই বললো, “মনে হয় না…”
আমি বললাম, “কেন, এতো কনফার্ম হচ্ছো কিভাবে?”
ও বললো, “একই স্ট্যাটাস এর কাউকে খুজে বের করা তো কঠিন কাজ, তারচেয়ে অবিবাহিত কাউকে বিয়ে করে ফেলাই তো সহজ… ধরো আমি যদি বিয়ে করি, তাহলে তো অবিবাহিত কাউকেই বিয়ে করবো, হাজবেন্ড মারা গেসে এমন সেইম, ম্যাচিং কাউকে কোথায় খুজবো?”
আমি তো আকাশ থেকে পরলাম, “তুমি যদি বিয়ে করো মানে কি???”
“ওই যে, তুমি ওইদিন বললা, মেয়ে দেখবা…”
“আমি বলসি বলেই, তুমি একদম, এই ভাবে বলবা যে- "আমি যদি বিয়ে করি"... যেন সত্যি বিয়ে করেই ফেলবা…”
“বাহ, আমি বললে দোষ, আর নিজে উলটা পালটা কথা বলার সময় মনে থাকেনা, কেমন শোনাচ্ছে??? …” বলেই ও অন্যদিকে চোখ ঘুরিয়ে নিলো…
এই এক্সপ্রেশন আমি চিনি… তার মানে আগের দিনের কথাটা ওনার হজম হয় নাই…
আয় হায়, এতো পুরা সেন্টু খেয়ে গেসে, মানে ঘটনা সেন্টিমেন্টাল হয়ে গেসে… আমি বলতে চাইলাম, “হেই... এই যে… হ্যালো… শুনো… আমি এতো সহজে মরতেসিনা, ডোন্ট ওরি, এমনি বলসি… আমি হচ্ছি বেতাল ভুত ক্যাটাগরির… তোমার ঘাড় থেকে নামতেসিনা এতো সহজে… তোমাকে ছেড়ে কোথাও যাচ্ছি না … প্রমিস…”
কিন্তু এই কথাতো এইভাবে বলা যায়না… লজ্জার বিষয়...
আমি যথাসম্ভব ভাব গাম্ভীর্য বজায় রেখে বললাম, “
আরে, তোমার মত এমন মিনিমাম ইমোশনাল এক্সপ্রেশনয়ালা পাবলিককে বুঝবে কে… তোমাকে অন্য কোন মেয়ের হাতে ছেড়ে দিয়ে ভরসা পাবোনা, আপাতত মরতেসিনা আমি… মেয়ে দেখার প্ল্যান বাদ, ওকে???”
ভাব খুব একটা ধরতে পারিনা, তাও চেষ্টা নিলাম… খিক খিক খিক…
Moral of the story:
১. সারা পৃথিবীতে এতো লক্ষ কোটি মানুষের মধ্যে কিভাবে একজন মানুষ আরেকজন মানুষকে খুজে পায়… ঘর বাঁধে এক সাথে… কে জানে… উপরওয়ালার এই জটিল পারমুটেশন, কম্বিনেশনের ক্যালকুলেশন… বড়ই আজব।
২. মাঝে মাঝে আমরা জগত সংসার উদ্ধার করে ফেলি... সব দিকদারি সহ্য করে, সবার প্রত্যাশা পূরন করে, প্রানশক্তির প্রায় পুরোটাই শেষ করে, দিন শেষে ক্লান্তি, হতাশা, মন খারাপ নিয়ে ঘরে ফিরি। অথচ, কখনো কখনো নিজেকে সামলাতে ব্যার্থ হলে, সাফারটা কিন্তু শেষ পর্যন্ত ঘরের মানুষজনই করে… আবার তারাই আসলে খোঁজ রাখে, যত্ন করে, সাহস দেয়…বিষয়টা মনে রাখা উচিত।
৩. প্রেম, ভালোবাসা, রাগ, দুঃখ, অভিযোগ উপচিয়েও, ঘরের মানুষটার জন্য, এতো মায়া কোথা থেকে আসে, সেটা একটা বিস্ময়… সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: এই মায়ার পুর্ন বহিঃপ্রকাশ কোনক্রমেই কাম্য নয়, ভাব বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি।
#LifeHacksbyParisa
সে অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো, “কিসের মেয়ে???”
আমি বললাম, “আমি মারা গেলে বিয়ে তো করবাই, নাকি… কাকে না কাকে নিয়ে আসবা, যার তার কাছে তো তোমাকে রেখে যেতে পারিনা, তারচেয়ে দেখে শুনে ঠিক করে দিয়ে যাই।”
জামাই অবাক হয়ে বললো, “ রিকমেন্ডেশন লেটার দিবা নাকি???”
আমি বললাম, “ধরো সে রকমই…”
কথাবার্তার এই পর্যায়ে আমাদের কন্যার আগমন… এসেই দুজনের মাঝখানে গুটিশুটি মেরে শুয়ে পরলো... হঠাত বিঘ্ন ঘটায়, আলাপচারিতার এখানেই সমাপ্তি…
কিছুদিন পর এক বিয়েতে গেছি, আমরা বরপক্ষ, ছেলের এটা দ্বিতীয় বিয়ে, প্রথম বউ এর সাথে ডিভোর্স হয়ে গেছে। আমি এম্নিতেই জিজ্ঞেস করলাম, “মেয়েরও কি দ্বিতীয় বিয়ে?”
আমার জামাই বললো, “মনে হয় না…”
আমি বললাম, “কেন, এতো কনফার্ম হচ্ছো কিভাবে?”
ও বললো, “একই স্ট্যাটাস এর কাউকে খুজে বের করা তো কঠিন কাজ, তারচেয়ে অবিবাহিত কাউকে বিয়ে করে ফেলাই তো সহজ… ধরো আমি যদি বিয়ে করি, তাহলে তো অবিবাহিত কাউকেই বিয়ে করবো, হাজবেন্ড মারা গেসে এমন সেইম, ম্যাচিং কাউকে কোথায় খুজবো?”
আমি তো আকাশ থেকে পরলাম, “তুমি যদি বিয়ে করো মানে কি???”
“ওই যে, তুমি ওইদিন বললা, মেয়ে দেখবা…”
“আমি বলসি বলেই, তুমি একদম, এই ভাবে বলবা যে- "আমি যদি বিয়ে করি"... যেন সত্যি বিয়ে করেই ফেলবা…”
“বাহ, আমি বললে দোষ, আর নিজে উলটা পালটা কথা বলার সময় মনে থাকেনা, কেমন শোনাচ্ছে??? …” বলেই ও অন্যদিকে চোখ ঘুরিয়ে নিলো…
এই এক্সপ্রেশন আমি চিনি… তার মানে আগের দিনের কথাটা ওনার হজম হয় নাই…
আয় হায়, এতো পুরা সেন্টু খেয়ে গেসে, মানে ঘটনা সেন্টিমেন্টাল হয়ে গেসে… আমি বলতে চাইলাম, “হেই... এই যে… হ্যালো… শুনো… আমি এতো সহজে মরতেসিনা, ডোন্ট ওরি, এমনি বলসি… আমি হচ্ছি বেতাল ভুত ক্যাটাগরির… তোমার ঘাড় থেকে নামতেসিনা এতো সহজে… তোমাকে ছেড়ে কোথাও যাচ্ছি না … প্রমিস…”
কিন্তু এই কথাতো এইভাবে বলা যায়না… লজ্জার বিষয়...
আমি যথাসম্ভব ভাব গাম্ভীর্য বজায় রেখে বললাম, “
আরে, তোমার মত এমন মিনিমাম ইমোশনাল এক্সপ্রেশনয়ালা পাবলিককে বুঝবে কে… তোমাকে অন্য কোন মেয়ের হাতে ছেড়ে দিয়ে ভরসা পাবোনা, আপাতত মরতেসিনা আমি… মেয়ে দেখার প্ল্যান বাদ, ওকে???”
ভাব খুব একটা ধরতে পারিনা, তাও চেষ্টা নিলাম… খিক খিক খিক…
Moral of the story:
১. সারা পৃথিবীতে এতো লক্ষ কোটি মানুষের মধ্যে কিভাবে একজন মানুষ আরেকজন মানুষকে খুজে পায়… ঘর বাঁধে এক সাথে… কে জানে… উপরওয়ালার এই জটিল পারমুটেশন, কম্বিনেশনের ক্যালকুলেশন… বড়ই আজব।
২. মাঝে মাঝে আমরা জগত সংসার উদ্ধার করে ফেলি... সব দিকদারি সহ্য করে, সবার প্রত্যাশা পূরন করে, প্রানশক্তির প্রায় পুরোটাই শেষ করে, দিন শেষে ক্লান্তি, হতাশা, মন খারাপ নিয়ে ঘরে ফিরি। অথচ, কখনো কখনো নিজেকে সামলাতে ব্যার্থ হলে, সাফারটা কিন্তু শেষ পর্যন্ত ঘরের মানুষজনই করে… আবার তারাই আসলে খোঁজ রাখে, যত্ন করে, সাহস দেয়…বিষয়টা মনে রাখা উচিত।
৩. প্রেম, ভালোবাসা, রাগ, দুঃখ, অভিযোগ উপচিয়েও, ঘরের মানুষটার জন্য, এতো মায়া কোথা থেকে আসে, সেটা একটা বিস্ময়… সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: এই মায়ার পুর্ন বহিঃপ্রকাশ কোনক্রমেই কাম্য নয়, ভাব বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি।
#LifeHacksbyParisa
Comments